ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৩০:১০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, থামানো গেছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৬ প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার

গোপালগঞ্জে মাছের উৎপাদন এক দশকে বেড়েছে প্রায় ৩ গুন 

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৩০ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২২ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জ জেলায় মাছের উৎপাদন  গত এক দশকে ৩ গুন বেড়েছে। খাল, বিল, জলাভূমি ও নদী বেষ্টিত এই জেলার ৫ উপজেলায় মৎস্য অধিদপ্তরের তত্ত্ববধানে মিঠা পানির মাছ চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে। এ কারণে প্রতি বছরই মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে এই সেক্টরে জেলার অন্তত ৬০ হাজার মানুষের কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। মৎস্য চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার গ্রামীণ অর্থনীতি অনেকটাই চাঙ্গা।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানাগেছে, গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলায়  ২২৯ টি বিল ও জলাভূমি, ১০ টি নদী, ৬টি বাওড় ও ৩৩৪ টি খাল রয়েছে। এসব উৎস হতে  ২০১১ সালে  ১৪ হাজার ২২৯ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়েছে।  ২০২১ সালে জেলায়  ৪১ হাজার ৯ শ’১৩ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। সেই হিসেবে বিগত ১ দশকে জেলায় মাছের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় তিনগুন।   ২০২১ সালে খাল,বিল, নদী ও বাওড়ে  ১০ হাজার মেট্রিক টন পুঁটি, ট্যাংরা, শৈল, মাগুর, কই, শিং, টাকি, খলিশা, গজার, রুই, কাতলা, বোয়াল, আইড়, চিংড়ি, ইলিশ, নান্দেল সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হয়েছে। ১৯ হাজার ৩৫০টি বেসরকারি পুকুর ও ১৩২টি সরকারী খাস পুকুরে ১৭ হাজার ১৫৮ জন খামারী  ৩১ হাজার ২ শ’ মেট্রিক টন রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া,গ্রাসকার্প, কই, শিং, পাবদা,গুলশা ট্যাংরা, উৎপাদন করেন। এছাড়া ২ হাজার ৩৭৫ চিংড়ি ঘেরে ১০০০ খামারী ১ হাজার ৭শ’ ১৩ মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদন করেন। সব মিলিয়ে জেলায় ২০২১ সালে ৪১ হাজার ৯ শ’১৩ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। প্রতি কেজি মাছ গড়ে ২ শ’ টাকা দরে খামারী ও মৎস্যজীবীরা বিক্রি করেন। সে হিসেবে এ জেলায় ৮ শ’ ৩৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার মাছ উৎপাদিত হয়। 
জেলা মৎস্য  কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বৈরাগী বলেন,জেলার টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া, সদর, মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলার বিশাল এলাকা জলাভূমি বেষ্টিত। এসব এলাকায় মাছ চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে  মৎস্য চাষিরা  মাছ চাষ সম্প্রসারণ করছেন। বিগত ১ দশকে এই জেলায় মাছের উৎপাদন প্রায় ৩ গুন বেড়েছে। জলাভূমি এলাকার জমির মালিকরা মাছ ও ধান চাষের ওপর জোর দিয়েছে। তারা জমিতে ঘের তৈরী করে বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষ করছেন। আর শুস্ক মৌসুমে ধান চাষ করছেন। এছাড়া ঘের পাড়ে সবজির আবাদ করে অতিরিক্ত আয় করছেন।  অনেকে আবার সারা বছর মাছ চাষ করছেন। এতে মৎস খামরীর আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৎস্য খামারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে জেলার ৪৩ হাজার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর। 
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া গ্রামের মৎস্যচাষী হাফিজুর রহমান  বলেন, আমি মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছি। আমরা বিলের শ্যাওলা , গমের ভুষি ও চালের কুড়া দিয়ে কার্প জাতীয় মাছ চাষ করি। তাই আমাদের মাছের স্বাদ নদী বা বিলের মাছের মতই। সারাদেশে আমাদের মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মাছ চাষ লাভজনক ব্যসায় পরিণত হয়েছে। এ কারণে আমি প্রতি বছরই মৎস্য অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সহযোগিতায়  মাছ চাষ সম্প্রসারণ করছি। আমর মাছ চাষের সাফল্য দেখে অনেকেই মাছ চাষে ঝুঁকছেন।